লিঙ্গ সমতা আর্থসামাজিক বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে তোলে

সরকারি সংস্থাগুলো অভ্যন্তরীণ আর বহির্গতভাবে ইস্যুগুলো মোকাবেলা করতে পারে। অভ্যন্তরীণভাবে তারা বোর্ড রুমে লিঙ্গ বিভক্তিকে পরিবর্তন করতে পারে। নারী-পুরুষের মজুরি ঘাটতি সংশোধন করতে পারে, বৈষম্য নিরসনে কাজ করতে পারে এবং এমন একটি কর্মপরিবেশ তৈরি করতে পারে যা নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। বাহ্যিকভাবে সংস্থাগুলো এমন প্রকল্পে কাজ করতে পারে যা সরাসরি নারীর উন্নয়নকে সমর্থন করে, যেমনটি অনুদানের মাধ্যমে অংশীদারত্ব এবং নারীদের জন্য শিক্ষা, দক্ষতা এবং তাদের সফল হওয়ার জন্য যে সুযোগ প্রয়োজন সে রকম প্লাটফর্ম নির্মাণের মাধ্যমে হতে পারে। এ প্রসঙ্গে আশা করা যায়, কপ২৬ সম্মেলনে যে অর্থায়নের অঙ্গীকার করা হয়েছিল তা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে লিঙ্গ অসমতার চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে স্থানীয় সমাজ ও প্রান্তিক নারীদের জন্য ব্যয় হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে প্রভাব পড়ছে সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। সমাজে মুখ্য অবদান রাখতে যত্নশীল ও সক্রিয় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্থানীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ক্ষেত্রে নারীরা দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু সহনশীলতার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করছে এবং তা লাঘব ও মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে। যা হোক, যদি তারা প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন না পায়, তাহলে নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় কমপক্ষে ১ কোটি ২৫ লাখ মেয়ের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে ভীতি থেকে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নারীর ক্ষেত্রে ক্ষুধা বৃদ্ধি, খাদ্য অনিরাপত্তা এবং সহিংসতার প্রভাব ফেলে এটি সুশীল নারী সমাজকর্মীরা আগেই পর্যবেক্ষণে পেয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নারীর দুর্বলতা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক। জলবায়ু দুর্বল দেশগুলোয় নারীকে জীবনধারণে স্থানীয় প্রাকৃতিক উৎসের প্রতি নির্ভরশীল হতে হয়। বিশেষ করে গ্রাম এলাকাগুলোয় তাদের কাঁধে গৃহস্থালি কাজের ভার অর্পিত থাকে। যা হোক, নারীকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভুক্তভোগী হিসেবে দেখা না গেলেও পরিবর্তনের সক্রিয় এবং কার্যকর প্রতিনিধির ভূমিকায় পাওয়া যায়। এটি নারীর উপার্জন, স্বাস্থ্য ও জীবনযাপনে হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ এবং অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোয় গৃহস্থালিসংক্রান্ত পুরো কাজ যেমন খাদ্য, জ্বালানি এবং পানি সরবরাহ অধিকাংশ সময়ে নারীদের ওপর নির্ভর করে, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অপর্যাপ্ত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করেছে কীভাবে তাদের দূরবর্তী পানির উৎসগুলো থেকে পানি আনতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়। ম্যারি রবিনসন এ প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেছেন যে অনেক প্রথাগত সমাজের পরিবেশে নারীরা কীভাবে দীর্ঘদিন জিম্মাদারের ভূমিকায় রয়েছে। এ নারীরা যারা প্রায়ই খাদ্য সরবরাহকারী, বীজ ভাণ্ডারের রক্ষক এবং গৃহস্থালি পর্যায়ে নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। নারীরা প্রায়ই নতুন প্রযুক্তির প্রারম্ভিক ব্যবহারকারী হয়, যারা ঘন ঘন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে প্রথমেই সাড়া দেয়। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আমাদের বিশ্বে নারীরা জলবায়ু বিজ্ঞানী, আইনরক্ষক, সমাজ সংগঠক, ব্যবসার স্বত্বাধিকারী, নীতিনির্ধারক, আবিষ্কারক এবং অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে জলবায়ুর পদক্ষেপে সংকল্প এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পুনরায় স্মরণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঠিক যেমনটি জেনারেশন ইকুয়ালিটি ফোরামে গত বছরের শুরুর দিকে কপ২৬ সম্মেলনে বলা হয়েছিল। সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের অবশ্যই বোঝা উচিত ন্যায়সংগত এবং ব্যাপক সিদ্ধান্ত প্রণয়ন এটি নিশ্চিত করে না যে নারীরা সবসময় সিদ্ধান্ত প্রণয়নের জায়গায় থাকে, কিন্তু বিশেষ করে প্রান্তিক আদিবাসী এবং গ্রাম্য সমাজে তা বলবৎ রয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে কপ২৭-এর কার্যকারিতা ব্যাপক হবে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের গুরুত্ব এবং মাত্রা যার সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের মানুষের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমাদের অবশ্যই নারীর নেতৃত্ব, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর সংহত দৃষ্টিপাত করতে হবে। যখন এটি করা হবে, তখন তাদের অপরিশোধিত যত্ন এবং গৃহস্থালি কাজের কথাও বিবেচনা করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস, স্থিতিশীল এবং ব্যাপক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক অর্থনৈতিক নীতি নিশ্চিত করতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে, তারা শুধু গৃহিণী নয় বরং গৃহনির্মাণকারীও বটে। এখনো নারীর ভূমিকাকে একপাক্ষিক মনে করা হয়। ফাকিম এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনাকারী বোর্ডে নারীর ক্ষুদ্র প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকে ১৯ শতাংশ এবং অধিকাংশ জাতীয় সংসদগুলোয় ৩০ শতাংশেরও কম প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য আরেকটি ইস্যু হিসেবেও চলমান, বিশ্বব্যাপী উপার্জনের ক্ষেত্রে নারীর ৩৫ শতাংশ অংশীদারত্ব রয়েছে, যা ১৯৯০ সালের পর থেকে মাত্র ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্লেষকরা এটিও পর্যবেক্ষণ করেছেন অর্থনৈতিকভাবে নারীর নিজেদের ও পরিবারের প্রতি আর্থিক সক্ষমতার ঝোঁক বৃহৎ আকারে এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের দারিদ্র্যে ভোগা ১৩০ কোটি জনগণের মধ্যে প্রভাবিত হয়েছে। এটি বিশেষ করে লক্ষ করা গেছে, ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী কৃষিশ্রমভিত্তিক কর্মকাণ্ড, অবৈতনিক অথবা ক্ষুদ্রভাবে মূল্যায়িত হয়ে থাকে। কৃষিভিত্তিক উৎপাদনে লিঙ্গবৈষম্য বহাল রয়েছে কারণ জমি, শ্রম, জ্ঞান, সার এবং উন্নত বীজের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৃষিভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিতে প্রায় ক্ষেত্রেই নারীর অসম অধিকার রয়েছে। এর বাস্তবায়ন নারী ও শিশু উভয়ের আয়, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিছু নারী সমাজকর্মী এটিও পর্যবেক্ষণ করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নারীর ক্ষেত্রে ক্ষুধার ঝুঁকি বৃদ্ধি, খাদ্য অনিরাপত্তা এবং সহিংসতার মুখোমুখি করছে। এক্ষেত্রে ড. ক্লাউডিয়া স্যাডফের পর্যবেক্ষণ যোগ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে যা সিজিআইএআরের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের ওপর করা হয়েছিল। এটি চলতি বছর মার্চ মাসের প্রথমার্ধে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন বাংলাদেশের গ্রাম্য এলাকায় গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা নয়। এটি সযত্নে পরিকল্পনার ভিত্তিতে করা হয়েছিল। তিনি এক দশক আগেই উল্লেখ করেছেন পাঁচটি সূত্র অনুসারে চারজন গ্রাম্য নারীর একজনকে ক্ষমতায়িত বলা যায় না, এটি এমন একটি সংখ্যা যা দেশের অতি দরিদ্রদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের বিস্মিত করেছিল। ২০১৫ সালে এটি পাঁচজনের ক্ষেত্রে দুজনের অধিক হয়ে যায় অথবা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যা ৪১ শতাংশে উপনীত হয়েছে। দৃশ্যত এ উত্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হচ্ছে গ্রাম্য নারীদের ক্ষমতায়নের মাত্রার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত প্রয়াস, যা নারীদের কৃষিকাজ ও মাছচাষসহ প্রতিদিনের জীবনে সরাসরি সম্পৃক্ত প্রকৃত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে হয়েছে। এটি স্পষ্ট যে এসব ফলাফল সিদ্ধান্ত প্রণয়ন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যকৃত পন্থার ক্ষেত্র নির্দেশ করে ও অধিক অনুপ্রাণিত করে। বিশ্লেষকরা যখন তথ্য যাচাই করেন, যা এমডিজি লক্ষ্যগুলো অর্জনের কারণ হিসেবে গণ্য হয়। চুক্তির ক্ষেত্রেও যা সম্ভব ছিল, কেননা শুধু বৃহৎ ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে নয় কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। লিঙ্গবৈষম্যের ক্রমানবতি দৃশ্যত বাংলাদেশকে নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণে সহায়তা করছে, যা চরম দারিদ্র্য এবং শিশু ও মায়ের মৃত্যু-হার কমার প্রসঙ্গেও উল্লেখযোগ্য। ড. ক্লাউডিয়া স্যাডফ এটিও চিহ্নিত করেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বহুমুখী সুযোগের বিষয়টি উন্মুক্ত করেছে, যা গ্রাম্য নারী ও তাদের সমাজে ক্ষমতায়নের মাত্রা এবং সমতাকে পরিমাপ করছে। এটি মনে করিয়ে দেয়, ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রথম দেশ হিসেবে জাতীয় গৃহায়ণ জরিপের ক্ষেত্রে কৃষি সূচকে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সূচকের একটি উপাদান নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করেছে। যেমন অর্থনৈতিক উৎপাদনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত, অর্থনৈতিক উৎসের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, উপার্জন খরচের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা, সমাজে নেতৃত্ব প্রদান এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সময় ব্যয় করতে পারা। অতিরিক্ত হিসেবে লিঙ্গ সমতার আরেকটি দিক পরিমাপ করা হয়, নারীদের মধ্যে কত শতাংশের ক্ষমতায়ন করা হয় অথবা গৃহস্থালি কাজে যাদের অন্তত পুরুষদের মতো বৃহৎ অর্জন রয়েছে। এসব দিক অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা, পুষ্টিগত উপাদান এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নকে লিটমাস পরীক্ষায় উপনীত হওয়ার অনুমোদন দেয়। এসব মাত্রা এবং বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী ধাপে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অনুষ্ঠানগুলোয় উৎসাহিত করেছে যা নারী, কৃষি এবং খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করেছে। এ মাত্রাটি বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়কে এবং বাংলাদেশে ২০১৫-১৮ সালের মধ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ, পুষ্টিগত আচরণ পরিবর্তন, যোগাযোগ এবং লিঙ্গ সংবেদনশীলতা অনুসন্ধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এক্ষেত্রে অংশীদারত্ব অনুসন্ধান ও তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করেছে। এ প্রচেষ্টাটি লক্ষণীয়ভাবে চালের তুলনায় অন্য শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং গৃহস্থালি খাদ্যাভ্যাসে উন্নতির বিষয়টি তুলে ধরে। এ সফলতাটি অনেক দেশেই হয়েছে, যারা ওমেনস এমপাওয়ারমেন্ট ইন এগ্রিকালচার ইনডেক্স (ডব্লিউইএআই) অনুসারে নির্দেশনা এবং তাদের নীতি গঠন, বিনিয়োগ নির্দেশনা এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করতে পারে, যা অধিক স্বাস্থ্যকর, ব্যাপক এবং উন্মুক্ত বিশ্বের উদ্দেশ্য সাধনের প্রবেশপথ হিসেবে গণ্য হতে পারে। উপরের কথা থেকে এটি পরিষ্কার যে বিনিয়োগ, সংগ্রহ, ক্ষমতায়ন সূচকের ওপর প্রতিবেদন এবং উন্নয়ন-সহযোগীদের সঙ্গে অনুসন্ধানের মাধ্যমে তাদের উপাত্ত সংগ্রহে সরকারের সমালোচনামূলক ভূমিকা রয়েছে। এটি অন্যদের সঙ্গে কার্যকরভাবে প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হতে পারে। যদি লিঙ্গ অসমতা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পায় এবং অবশেষে লক্ষ্যের ভিত্তিতে নির্বাসিত হয়, তাহলে এর কার্যকর প্রয়োগ প্রতিটি দেশের জন্যই ফল বয়ে আনবে। বিশেষ করে শিশুদের গৃহস্থালি খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রতিটি আক্রান্ত অঞ্চল এবং উপ-অঞ্চলে এর ফলাফল দেখা যাবে। মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন উন্নত দেশগুলোর দৃঢ় অবস্থান

মোহাম্মদ জমির সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ আগস্ট মাসটা বাংলাদেশের মানুষ শোক, দুঃখ, বেদনা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কাটিয়েছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে আমরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চালানো গণহত্যার পাঁচ বছর স্মরণ করেছি। নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো এবং পুরো বিশ্বের অনেক দেশই এ কাজটি করেছে। তারা সবাই রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার সংহতি জানিয়ে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে, সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার চেয়েছে, মিয়ানমারে ওই জনগোষ্ঠীর পূর্ণ প্রত্যাবাসনের অধিকার নিশ্চিত এবং দেশটির সামরিক বাহিনীর দায়মুক্তি অবসানের কথা বলেছে। এটা সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দলে দলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি আবারো সামনে এনেছে, যা কখনো ভোলার নয়। পাঁচ বছর আগের এ দিনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, নির্যাতন করেছে, নারীদের ধর্ষণ করেছে এবং গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের গণহারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য করেছে। আগেও আড়াই লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল। নতুন করে এসেছে সাত লাখের মতো। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছে। তারা পূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে স্বদেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। সে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে কক্সবাজারের ক্যাম্পে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ছিল ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৭ জন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জনে। এছাড়া ক্যাম্পের বাইরে প্রায় আড়াই লাখের মতো রোহিঙ্গা বাস করছে। আবার আনুমানিক ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদিকে রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বাড়লেও তাদের ভরণপোষণে প্রয়োজনীয় সহায়তা কমেছে। সংগতকারণে এটা বাংলাদেশের ভয়াবহ জটিলতা ও চাপ সৃষ্টি করছে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে একটি পাঁচ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। ওই প্রস্তাবে তিনি  নিঃশর্তভাবে সহিংসতা এবং রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংকটের মীমাংসার দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রদান করেছিলেন। এরপর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়াই বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন এবং ঢাকাকে সব ধরনের সমর্থন দিতে বেইজিং প্রস্তুত বলে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। একই বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, প্রতিদিন ২০০ জনকে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়া সহজতর করতে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের একটা দীর্ঘ তালিকা তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। তার পর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষক ও ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সফর করেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয়  ঘুরে গেছেন এবং ভাসানচরে তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরিতে সাহায্য করেছেন। অনেক ঘোষণা, বিবৃতি দেয়া হয়েছে কিন্তু প্রত্যাবাসন কার্যকরভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের ফিরে যাওয়া একটা দূরের স্বপ্ন হিসেবে রয়ে গেছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনো গণহত্যামূলক নীতি, জাতিভেদ ও বর্ণবাদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ে অভিগম্যতা ও চলাচলের স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ এবং পদ্ধতিগতভাবে নাগরিকত্ব অস্বীকারের একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছে। ঘিরে রাখা এলাকার বাইরে গেলে অপরাধীদের মতো তাদের ইচ্ছাকৃত গ্রেফতার, জেলে বন্দি রাখা এবং নির্মম–অন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে যেন পালিয়ে যায় সে ধরনের একটা ভীতিপ্রদ পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যটিতে বন্দিশিবিরে থাকা ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এখন নতুন করে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ এবং সহায়তা বন্ধের পরিস্থিতির মুখোমুখি। কারণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা সেনাবাহিনী অধিকৃত করেছে। সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বলিষ্ঠ ও সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে সামরিক নৃশংসতা তীব্রতর হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বাড়ছে, যা এখন মিয়ানমারে একটা বড় জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চলছে। পাঁচ বছর অনেক কথা হয়েছে, নানা বিবৃতি এসেছে। কিন্তু সামরিক নৃশংসতা ও অপরাধ এতটুকু কমেনি। কাজেই এখন কথার চেয়ে বলিষ্ঠ কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি। মানবাধিকার ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী অনেক দেশেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সাম্প্রতিক রুলিংকে স্বাগত জানিয়েছে। এ রুলিংটা এসেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যাবিষয়ক প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। আন্তর্জাতিক আদালত এখন গাম্বিয়ার করা মামলার সত্যতা প্রতিপাদন করেছে। এ রুলিং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে এ বার্তা দেবে, অপরাধের জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।   ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী এবং যুক্তরাজ্যের বার্মা ক্যাম্পেইনের নির্বাহী পরিচালক আনা রবার্টস মিয়ানমারে সংঘটিত গণহত্যার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এরই মধ্যে একটা ইতিবাচক উন্নয়ন হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যাবিষয়ক মামলায় ব্রিটিশ সরকার যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ করা দরকার, চলতি বছরের ২২ জুলাই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত মিয়ানমারের উত্থাপিত সব প্রাথমিক আপত্তিই নাকচ করেছে। গাম্বিয়ার পক্ষে রায় দিয়েছে।    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি একটি স্বতন্ত্র মামলা রুজু করে। গাম্বিয়া ওআইসির ৫৭টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দায়ে অভিযোগ করে। এরপর ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি আইসিজে একটি আদেশ জারি করে সাময়িক কিছু ব্যবস্থার কথা বলে। তারা মিয়ানমারকে জেনোসাইড কনভেনশনের পরিপালন নিশ্চিত, গণহত্যার অভিযোগসংশ্লিষ্ট সাক্ষ্যসাবুদ সংরক্ষণ এবং নিয়মিত রিপোর্ট করার বিষয়ে মিয়ানমারকে আহ্বান জানায়। গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমার মামলার একটা প্রধান বিষয় ছিল সুনির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে অবশ্যই জেনোসাইড কনভেনশন স্বাক্ষরকারী অন্য কোনো রাষ্ট্রকে সুনির্দিষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। মিয়ানমার সেটিই ধরেছিল। তারা বলেছিল, গাম্বিয়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তারা সরাসরি ‘আক্রান্ত’ নয়। বাংলাদেশ ওই মামলায় সমর্থন জানালে মিয়ানমারের যুক্তি অনেকটা অপাঙেক্তয় হয়ে যায় এবং আইসিজের বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে তেমন আর অসুবিধা হয়নি। ফৌজদারিভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে প্রচেষ্টা অবশ্যই বেগবান করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা সমব্যথী সেসব দেশের উচিত সেনাবাহিনীকে বিচারের আওতায় আনার ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন মামলা, বিশেষ করেন আর্জেন্টিনায় চলমান মামলায় সমর্থন প্রদান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্য উপায়গুলোও খুঁজে বের করা জরুরি। যেমন সেনাবাহিনীকে বিচার ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেফারেল উপস্থাপন কিংবা একটা অস্থায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যায় কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা।  আমরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অঙ্গীকার ও দৃঢ়তাকেও স্বাগত জানাই। চলতি বছরের শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলা হত্যাকাণ্ডকে তারা গণহত্যা হিসেবে স্বীকার করেছে। আইসিজেতে গাম্বিয়া মামলায় যোগ দিয়ে তাদের অবশ্যই জবাবহিদিতা নিশ্চিতের বিষয়টি বেগবান করতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের অন্যতম উৎস তেল ও গ্যাস প্রতিষ্ঠানসহ (এমওজিই) দেশটির ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন শরণার্থীদের রিসেটলমেন্ট তাত্পর্যজনকভাবে বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছে, যাতে তারা দেশটিতে তাদের জীবন নতুন করে গঠন করতে পারে। এটি বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাসহ কয়েক দেশ থেকে অন্য শরণার্থীদের নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক রেসপন্সের অংশ হবে।  ২৪ আগস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে উচ্চ প্রতিনিধি এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানের পঞ্চম বার্ষিকী স্মরণ করেছে। তাদের যৌথ বিবৃতিটা এ রকম: ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় গণপ্রস্থান ত্বরান্বিত করেছে। আমরা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার প্রচেষ্টাসহ দুষ্কৃতকারীদের জবাবদিহিতায় আনতে অন্য উদ্যোগগুলোর প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করি। আমরা জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বাংলাদেশকে তাদের উদারতা এবং রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে দেয়া সমর্থন–সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমরা সব রোহিঙ্গা এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন মেটানো ও অধিকার নিশ্চিতে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ভুক্তভোগীদের প্রতি বিচার নিশ্চিতে এবং স্বদেশে নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণভাবে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়ার একটা পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের আহ্বান জানাই। মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ ঘিরে আলোচনায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই অর্থবহভাবে যুক্ত করতে হবে।’ এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গিকে আমরা সবাই স্বাগত জানাই। তবে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে নিজেদের স্বার্থে সব দিক থেকে রাশিয়া এবং চীন কর্তৃক দেয়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রতি সমর্থনের অবসান ঘটানোর বিষয়টি বিশ্ব দেখতে চায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাশেলে (যার মেয়াদ ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে) সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর করেছেন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছে। মিয়ানমারবিষয়ক ইউএনএসজির বিশেষ দূতও মিয়ানমার ঘুরে গেছেন এবং ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তিনিও বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন। অবশ্য তাদের আশ্বাস যথেষ্ট নয়। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাকে এক্ষেত্রে অবশ্যই চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।     মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক...

Bangladesh’s Forgotten Mass Execution

29 October, 2022 12:00 AM Print newsAbdul MannanSince the birth of Bangladesh, the history of the country has been witness to killing and tragic assassinations,...

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আমলাতন্ত্রী বাংলাদেশ

কালের কণ্ঠআবদুল মান্নান প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩২ আজকের লেখাটি দুজন প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির বক্তব্য দিয়ে শুরু করি। প্রথমজন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।...

আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করুক বিএনপি

দেশে বাস্তবে রাজনৈতিক দল দুটি- আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগবিরোধী। আওয়ামী লীগবিরোধীদের মধ্যে রয়েছে- বিএনপি, জামায়াত, মুসলিম লীগ, কিছু বাম দল, এক শ্রেণির সুশীল ব্যক্তি...

Challenges the UN has to overcome

Very correctly, the UN Secretary-General Antonio Guterres during the opening of the 77th UN General Assembly session has not only warned that the world is...

Wildfires continue to devour forests in Morocco

Raging wildfires continued, on Tuesday, to devour thousands of hectares of mountain forests in northern Morocco, Anadolu News Agency reports. In a statement, the Ministry of Agriculture...