ইউরোপ যেভাবে জ্বালানি সংকট মোকাবেলা করছে
পুরো বিশ্ব মনোযোগ দিয়ে দেখছে ইউরোপীয় দেশগুলো কীভাবে তাদের জ্বালানি সংকটের বিভিন্ন মাত্রা অতিক্রম করছে। ২০২২ সালের প্রারম্ভে এবং ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ চ্যালেঞ্জগুলো তীব্র হয়েছে। এটি সরবরাহ ইস্যুতে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমদানীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। ইউরোপের দেশগুলোর সরকার তাদের নাগরিকদের মূল্যস্ফীতি থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে, যখন তাদের অর্থনীতি ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক ধর্মঘট এবং বিভিন্ন শহরের রাজপথে ক্রমবর্ধমান আন্দোলন জ্বালানি সংকটের ধারাবাহিকতায় জর্জরিত লাখো মানুষের মর্মপীড়ার প্রদর্শনীই ঘটিয়েছে।
শীতের ঠাণ্ডা ও অন্ধকার দিনগুলোয় কর অব্যাহতি, বিদ্যুৎ ব্যবহার হ্রাস এবং গ্যাসের বিকল্প উৎস খোঁজার বেপরোয়া প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা জ্বালানির দামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ইউরোপের কিছু দেশ জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী পরিস্থিতি সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু সমবেত উন্মত্ত প্রচেষ্টার ফলে একটির পর একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, ইতালি ও গ্রিসের উদাহরণ দেয়া যায়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ দেশগুলো সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। ফ্রান্স ও স্পেনে উদ্ভূত জ্বালানি সংকটে অধিক গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি প্রকাশ পেয়েছে। এতে ইতালি, জার্মানি ও গ্রিসে তাদের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা পূরণে দীর্ঘমেয়াদে প্রস্তুতির বিষয়টিও উঠে এসেছে, যখন যুক্তরাজ্য এখন পর্যন্ত ন্যূনতম অভিন্ন বিভাজকের প্রশ্নে লড়াই করে যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে বোঝা দরকার, ২০২১ সালে ইউরোপের মোট গ্যাস আমদানির অর্ধেকের কাছাকাছি আমদানি রাশিয়া একাই করেছে। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে ইউরোপের দেশগুলোয় দুর্বলতা বেড়েছে। এ বিবেচনায় পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া প্রায় পুরোপুরি রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। কারণ এ সরবরাহ পাইপলাইনের দিকে তাদের ভৌগোলিক নৈকট্য রয়েছে, কৌশলগত জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল, দেশটি ২০২১ সাল থেকে তার প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার অর্ধেক রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। জার্মানির বিশাল কেমিক্যাল শিল্প, যেখানে তিন লাখের অধিক মানুষের কর্মংসংস্থান হয়েছে, তারা প্রাকৃতিক গ্যাসকে কাঁচামাল হিসেবে
ব্যবহার করছে।
এছাড়া ইউরোপের দেশগুলোর বিশ্লেষক এস ঝার মতে, এটা উল্লেখযোগ্য যে প্রথাগতভাবে কিছু দেশের মোট জ্বালানি মিশ্রণের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের উচ্চতর ভাগ রয়েছে। ইতালি (৪০ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (৩৭ শতাংশ), হাঙ্গেরি (৩৩ শতাংশ) ও ক্রোয়েশিয়া (৩০ শতাংশ)। যদিও রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নির্ভরশীল হওয়ায় তীক্ষ্ণ মূল্যস্ফীতির ফলে তারা গ্যাসের দাম রেকর্ডমাত্রায় বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে।
এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে ইউরোপ মোটামুটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার অধিকাংশ পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ হয়েছে। এ গতিশীল নির্ভরতা বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুরো বছরে যতটুকু আমদানি করা হয় তার চেয়ে অধিক এলএনজি আমদানি করেছে।
এ প্রবণতার ক্ষেত্রে ইতালির মার্টজে উইফলারস ইউরোপের দেশগুলোয় বিশেষভাবে ‘এলএনজি সরবরাহ অনুসন্ধানে সক্রিয়’ ভূমিকা তুলে ধরেছেন। তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইতালি স্পষ্টত আজারবাইজান, আলজেরিয়া ও মিসরে বিকল্প গ্যাস সন্ধানের খোঁজ করছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো আলজেরিয়া ভূমধ্যসাগরজুড়ে অবস্থিত একটি প্রধান গ্যাস সরবরাহকারী দেশ, যা ইতালির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
এ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এটিও যোগ করেন যে ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন জার্মানি, যারা প্রথাগতভাবে পাইপলাইনের গ্যাসের ওপর অধিক নির্ভর হয়ে থাকে তাদের তুলনায় বিদ্যমান নির্ধারিত এলএনজি টার্মিনাল শুরুর ক্ষেত্রে কিছু দেশ—স্পেন, ফ্রান্স ও ইতালিরও সুবিধা রয়েছে। বিশ্লেষক ঝা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে অঞ্চলটিতে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকা দেশগুলো সর্বোচ্চ এলএনজি আমদানি সক্ষমতায় আবির্ভূত হতে পারে। যদিও বর্তমানে অন্য অনেক দেশই ভাসমান টার্মিনালের দিকে বাঁক নিচ্ছে। যাতে ভূমিতে স্থায়ী সংস্থাপনের চেয়ে কম সময় প্রয়োজন হয়।
এ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে জার্মানি নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় উঠে আসছে, তারা সম্প্রতি প্রথম পরিকল্পিত পাঁচটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। জার্মানির ইউরোপের অন্যতম সর্বোচ্চ সক্ষমতা রয়েছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য ‘নিউক্লিয়াস’ হিসেবে কাজ করতে পারে।
যা-ই হোক, এ সত্ত্বেও কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য রূপে এটিও ফুটে উঠেছে যে কাতার, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে না। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এক বছরেরও বেশি সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ ফেলো বেন কাহিলের বক্তব্যে এটি প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ততদিন পর্যন্ত জ্বালানির মূল্যে ঊর্ধ্বগামিতা অব্যাহত থাকবে।’
এটি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ইউরো জোন এরই মধ্যে তার যাত্রার পর মূল্যস্ফীতির তীক্ষ্ণতম উত্থানের সাক্ষী হয়েছে এবং জ্বালানি মূল্যের ফলে সেপ্টেম্বরে আনুমানিক মূল্যস্ফীতির ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এমন মূল্যস্ফীতি এবং জীবনযাপনের ব্যয় বৃদ্ধি শুধু ইউরোপে নয়, ব্রিটেনেও শ্রমিক আন্দোলন এবং বিশৃঙ্খলায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে যে ব্রিটেনে অস্থিরতা সংঘটিত হচ্ছে এবং ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কয়ারে রাজকীয় মেইল কর্মীরা বিক্ষোভ করেছে।
ইউরোপীয় দেশ বিশেষ করে ফ্রান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী কিছু আকর্ষণীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাদের প্রশাসন যত্নপূর্বক যাচাই এবং আলোচনার পর ২০২১ সালের অক্টোবরে গৃহস্থালি গ্যাসের মূল্য স্থিতিশীল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ২০২২ সালে বিগত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বাড়ানোর পর বিদ্যুতের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। দেশটি সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ১৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ করে দেবে। ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ পরবর্তীকালে এসব পদক্ষেপের ব্যাপারে গৃহস্থালি বিল দ্বিগুণ হওয়া বন্ধ করার ব্যাখ্যা দিয়েছে। স্পষ্টত, এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভর্তুকি ফ্রান্সের সরকারি কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
এটি অনুধাবন করা দরকার যে কিছু সময় ফ্রান্স উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে। নিকট অতীতে দেশটি ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমিয়েছে (মোট আমদানির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ)। এটি সম্ভব হয়েছে, কারণ পারমাণবিক বিদ্যুতের ওপর তাদের প্রবল নির্ভরতা রয়েছে। তারা তাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্লান্ট ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে তাদের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা উপলব্ধি করেছে ফ্রান্স জ্বালানি সংকটের দৃশ্যকল্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। এছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের ওপর ফ্রান্সের মূল্যের সর্বোচ্চসীমা তাদের মূল্যস্ফীতিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নজুড়ে ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বনিম্ন রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ফ্রান্সের পর স্পেন আরেকটি সক্রিয় দেশ হিসেবে চেষ্টা করছে নাগরিকদের মূল্যস্ফীতি থেকে রক্ষা করতে। এক্ষেত্রে তারা কর হ্রাসে পদক্ষেপ এবং গ্যাসের মূল্যে সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে।
ফ্রান্স ও স্পেনের উল্লিখিত ক্রয় সংক্রান্ত প্রয়াসে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একাধিক পর্যবেক্ষণ তৈরি হয়েছে, তাদের সরকারের সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কার্যকলাপের ভাবনায় এরই মধ্যে সম্ভাব্য সংকটের প্রবাহ গৃহীত হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যখন প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহে বিঘ্ন শুরু হয়, যে মাসগুলো মূলত যুদ্ধের দিকে ধাবিত করছিল। সে সময়ে তাদের অনেকেই তহবিল একপাশে সরিয়ে রেখে সংকটের সঙ্গে কারবার করছিল। তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুঞ্জীকৃত অর্থকে তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে যোগ করে। বর্তমানে তারা তাৎক্ষণিক ফলাফল প্রত্যাশা করছে।
এটিও উল্লেখযোগ্য যে ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ব্রুজেলের মতে, জার্মানি ২৬৪ বিলিয়ন ইউরোর অধিকারী (ইউএস ডলার ২৮১ বিলিয়ন) অথবা মোট ৬০০ বিলিয়ন ইউরোর অর্ধেকের কাছাকাছি যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে জ্বালানি সংকটের জন্য চিহ্নিত হয়েছিল। জার্মানির সম্ভাব্য পরিত্রাণের ক্ষেত্রে দেশটির গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্টের (জিডিপি) ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বিবেচনা করা হচ্ছে। এরপর রয়েছে লিথুয়ানিয়া (৬ দশমিক ৬ শতাংশ), গ্রিস (৫ দশমিক ৭ শতাংশ), নেদারল্যান্ডস (৫ দশমিক ৩ শতাংশ) ও ক্রোয়েশিয়া (৪ দশমিক ২ শতাংশ)।
কিন্তু যখন ফ্রান্স ও স্পেন মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিচ্ছে এবং জনগণের ওপর উচ্চমূল্য না চাপিয়ে জ্বালানি তেলের মূল্যে ছাড় দিচ্ছে। জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ অসহায় জনগোষ্ঠীর প্রতি আর্থিক সহায়তার জন্য অধিক মনোযোগ দিচ্ছে। কিছু দেশ যানবাহনের তেল এবং জ্বালানি কোম্পানির বায়ুপ্রপাতে শুল্কছাড়ের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রিয়ায় গৃহস্থালি পর্যায়ে গ্যাস বিলে এককালীন ছাড় দেয়া হয়েছে, যা অতিকায় দুর্বল অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণের দ্বিগুণ ছিল।
বিশ্লেষক উইফলারস চিহ্নিত করেছেন গৃহস্থালি বৃদ্ধি এবং ব্যবসার উপার্জনে জোর দেয়া বিদ্রূপাত্মকভাবে চাহিদা বৃদ্ধি এবং উচ্চতর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বৈপরীত্য হিসেবে ফ্রান্স ও স্পেন বিদ্যুতের মূল্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি দমনে সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ব্যতিক্রম অবস্থান ২০২৩ সাল থেকে জার্মানিকে প্ররোচিত করেছে বিদ্যুতের বিলে ভর্তুকির পদক্ষেপ নিতে। এটি মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর পদক্ষেপ যুক্তরাজ্য দেখছে, কিন্তু এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিধান্বিত অবস্থায় রয়েছে। এটি তাদের জনগণকে সহায়তা করছে না। তাদের মূল্যস্ফীতির হার অক্টোবরে ১১ দশমিক ১ শতাংশ ছিল, যা ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে জার্মানির মতো নয়, যুক্তরাজ্যে শুধু ৯৭ বিলিয়ন ইউরো (১০৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার) সম্পদ এক পাশে রেখে জ্বালানির ক্ষেত্রে দেশটির জিডিপির মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে। ব্রিটেন এ সময়কে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করার পরিবর্তে দুই বছরের জন্য জ্বালানির মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য আগের পরিকল্পনাগুলোয় আবর্তিত হয়েছে।
ইউরোপ বর্তমানে উপলব্ধি করছে তাদের দলিলগুলো যতটা সম্ভব বহুমুখী করতে। এর ফলে তাদের একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। এটিও দেখা প্রয়োজন যে ইউরোপ আগামী মাসগুলোয় তাদের গতিবিধিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে। এর ফলে যে কেউ নিশ্চিত হবে—এসব পদক্ষেপে সাধারণ জনগণ সংকটের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হবে।
মোহাম্মদ জমির: সাবেক রাষ্ট্রদূত; বৈদেশিক সম্পর্ক, তথ্য অধিকার ও সুশাসনবিষয়ক বিশ্লেষক