‘তলাবিহীন ঝুড়ি’-তে ফল উপচে পড়লে যা হয়

অমল সরকার, ঢাকা

খবরটা এল যুযুধান দুই শিবির থেকেই। ঢাকা সফররত আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভাবনীয় উন্নতি করেছে।’ ২০২১-এর ১০ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকই র‍্যাবের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার হরণের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

কয়েক লাইনের ওই মার্কিন ঘোষণা আচমকা বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি। দেশের চমকপ্রদ উন্নয়ন এবং তাতে শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকা নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনায় ছন্দপতন ঘটিয়ে অভিমুখ ঘুরে যায় মানবাধিকার হরণ, ভোটে কারচুপির অভিযোগের দিকে। মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো ইস্যুটি লুফে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিরোধী দল বিএনপি। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করে মার্কিন ঘোষণার বর্ষপূর্তি পালন করেছে তারা। খবর পাচ্ছি, লু’র ঘোষণার পর সেই দলের নেতাদের মুখ ভার। কারণ, র‍্যাব নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সংশাপত্র দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এ ভাবেই ওঠানামা করে আমেরিকার ভূমিকা। কিন্তু তাতে ভিন্ন এবং স্থায়ী মাত্রা দিয়েছেন অবশ্যই প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রকর্তা হেনরি কিসিঞ্জার। আর মাস চার, সাড়ে চার পর শতবর্ষে পা দেবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধী এই মার্কিন রাজনীতিক, সদ্য স্বাধীন দেশটিকে যিনি ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে বিদ্রুপ করেছিলেন। অনেক আগেই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছেন তিনি। দু’বছর আগে স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষে বাংলাদেশের বহু মানুষ তাঁকে অগ্রগতির খতিয়ান-সহ চিঠি, মেল পাঠিয়ে আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ভুল, ভুল, আপনি ভুল।
সেই অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনার তথ্যমন্ত্রী হাছান মামুদ ক’দিন আগে বলছিলেন, ‘বাংলাদেশে আকাশ থেকে এখন আর শুধু কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না। বেশির ভাগই এখন পাকাবাড়ি।’ হাছানের কথায় তিন দশক আগের দৃশ্যটা মনে পড়ে গেল। আগরতলা যাওয়ার পথে যান্ত্রিক কারণে লো ফ্লাই করা বিমান থেকে তাকিয়ে চমকে গিয়েছিলাম। নীচে বাংলাদেশ। পাকা বাড়ি চোখে পড়েছিল কদাচিৎ। এ বার কলকাতা-ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে ঢাকায় ফেরার পথে নজর করলাম রূপকথার গল্পের মতোই সব কিছু অনেক বদলে গিয়েছে।

একেবারে মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই পরিবর্তনটা টের পেয়েছিলাম মাস দুই আগে, ঢাকায় এক আলোচনায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে। বিমানে সহযাত্রী যুবকের কথা শুনে মনে হয়েছিল ‘পদ্মা সেতু ও বাংলাদেশের অগ্রগতি’ বিষয়ে রচনা মুখস্ত করে বিমানে উঠেছেন। ঢাকায় নামার পর তাঁর প্রস্তাব, ‘সময় করতে পারলে জানাইবেন, আপানারে কপ্টারে চাপাইয়া পদ্মা সেতু দেখানোর দাওয়াত দেওয়া থাকল।’
তাঁর মুখেই শুনলাম, ঢাকায় বিয়ে, আরও নানা সামাজিক আনন্দানুষ্ঠানে কপ্টারে চেপে পদ্মা সেতু দেখার টিকিট উপহার দিচ্ছেন কেউ কেউ। সে বার গাড়িতে পদ্মা সেতু যাওয়ার পথে নানা জনের কথায় টের পেয়েছিলাম অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে চর্চার সঙ্গে মিশে আছে স্বাভিমানের অনুচ্চারিত বার্তা—আমরাও পারি।

সত্যি কথা বলতে কী, বিগত ৫০-৫১ বছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এক বৈপরীত্য বিরাজ করেছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জনমানসে যে আবেগ বহমান, শেখ মুজিবুরকে সপরিবারে হত্যা, সামরিক শাসকদের গণতন্ত্রহীন দীর্ঘ শাসন, মৌলবাদী শক্তির উত্থান এবং রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে বছর পাঁচ-সাত আগেও দেখেছি, সাধারণ বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশ নিয়ে গর্ববোধের ছিঁটেফোটা নেই। পদ্মা সেতু সাধারণ বাংলাদেশিদের মধ্যে সেই স্বাভিমান জাগিয়ে তুলেছে। আর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে অনুপ্রবেশ, দারিদ্র, অনাহার, অশিক্ষা, অস্বাস্থ্য কেন্দ্রীক আলোচনার অভিমুখ বদলে গিয়ে, সামনের সারিতে এসেছে তাদের উন্নয়ন।

উত্তাল পদ্মায় নিজের টাকায় এশিয়ার দীর্ঘতম দোতলা সেতু (সড়ক ও রেল) তৈরির এই কাহিনির সঙ্গেও জুড়ে আছেন অসংখ্য হেনরি কিসিঞ্জার। তালিকায় ঋণ দিতে অস্বীকার করা বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তারা যেমন আছেন, তেমনই আছেন দেশের বিরোধী দলগুলির নেতা-নেত্রী এবং সুশীল সমাজেরও একাংশ, যাঁরা বারে বারে দাবি করেছিলেন, কিছুতেই সম্ভব হবে না পদ্মার দু’পাড়ের সেতুবন্ধন। তাঁদের চমকে দিয়ে দু’মাস আগে এক দিনে দেশে আরও একশোটি সেতুর উদ্বোধন করেছেন হাসিনা। বাংলাদেশে এখন ‘অ’-য়ে অবকাঠামো।
চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের আড্ডায় শহরের ভূমিপুত্র তথা আওয়ামী লিগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম কথায় কথায় বলছিলেন, ‘দাদা, এটাও একটা বিজয়। আর বিজয় তো আমাদেরই হবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস (১৯৭১-এর ২৫-২৬ মার্চের রাত) এবং বিজয় দিবস (১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর) আর ক’টা জাতির আছে!’ আরও বললেন, ‘বিজয় শব্দটা বাংলাদেশ আর আওয়ামী লিগের। তাই কাজটা পারলে শেখ হাসিনাই পারতেন এবং পেরেছেন।’
শুধু পদ্মা সেতুই নয়, করোনা পরবর্তী বিগত বছরটিতে বাংলাদেশের মানুষের আরও এক প্রাপ্তি ঢাকার মেট্রো রেল। চট্টগ্রামে গিয়ে দেখলাম, কর্ণফুলি নদীর নিচে চার লেনের শেখ মুজিবুর রহমান টানেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ২৪ ঘণ্টা কর্মচঞ্চল বন্দর শহর চট্টগ্রামের অর্থনীতির গতিমুখ অনেকটা বদলে দেবে এই টানেল। অদূরেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ।
ওদিকে, ঢাকায় বিগত কয়েক বছর যানজট সীমা ছাড়ানোর একটি কারণ কিন্তু শহর জুড়ে উড়ালপুল, এলিভেটেড রোড, রাস্তা চওড়া করার কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠ ভাবে সম্পাদনে নানা ঘেরাটোপ। উন্নয়নের প্রসব বেদনা স্বভাবতই মাত্রাছাড়া।
শেখ মুজিবুরের দেশে এই সব উন্নয়নের সঙ্গে জুড়ে এপারে আমাদের স্বার্থও। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সড়ক ও নদী পথ ভারতের পণ্য যাতায়াতের জন্য খুলে দিয়েছেন। কলকাতা থেকে বাংলাদেশের মংলা, চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ভারতের সমতল এলাকার পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে ত্রিপুরা, মণিপুর, অসম-সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে। এপারে আমাদের তাই কর্তব্য, দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে যশোর রোড ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা।

বাংলাদেশের আর্থিক প্রগতি, এক পর্যায়ে মাথাপিছু আয় ও গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে ভারতকে ছাপিয়ে যাওয়া এবং অমর্ত্য সেনের মতো অর্থনীতির পণ্ডিতের চোখে যে অগ্রগতি জনবাদী এবং সমন্বিত, তার খানিকটা টের পেলাম চট্টগ্রাম টেলিভিশন সেন্টারের ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁয় লাঞ্চ সারতে ঢুকে। সেখানে ভালমন্দ খাবারের অনেকগুলি পদ দুশো টাকায় খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে শহরের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। টিভি স্টেশনের জেনারেল ম্যানেজার মাফুজা আকতার বলছিলেন, দিনে দু’-তিন-চারশো টাকা রেস্তরাঁয় খরচ করার লোক এই শহরে কম নেই। যাদের অনেকেই দিনমজুর, রিকশ, সিএনজি চালক। তাঁদের কথা মাথায় রেখেও খাবারের দাম ধার্য হয়েছে।
পড়শি দেশের উন্নতি যে ফাঁকা বুলি নয়, তা বোঝা গিয়েছিল করোনা অতিমারী এবং লকডাউনের দিনগুলিতেই। সকলের পেটে ভাত জুগিয়ে অনাহারে মৃত্যু ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে অতীতে বারে বারে দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া শেখ মুজিবুরের দেশ। নিখরচায় দেশবাসীকে করোনার টিকা দিয়েও অর্থনৈতিক সক্ষমতার অগ্নিপরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন শেখ হাসিনা। আসছে বছর বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করবে।
বলাই বাহুল্য, সাফল্যের সরণিতে অনেক কাঁটাও আছে। তৃতীয় বিশ্বের আর পাঁচটা দেশের মতো উন্নয়ন ঘিরে দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক পরিমণ্ডল, ভোট দুর্নীতি, অনিয়ম, দাদাগিরির সংস্কৃতি বাংলাদেশেও আছে। এপার বাংলার মতোই জমানা নির্বিশেষে ‘জোর যার মুলুক তার’ ভোট-সংস্কৃতি সে দেশে দিব্য বিরাজ করে। আগের দু’-দু’টি নির্বাচনে বিরোধী দল ময়দান ছেড়ে থাকায় শাসক দলের আরও পোয়াবারো হয়েছিল সন্দেহ নেই।
তবে ভোটে অনিয়ম আরও নানাবিধ বিষয়ে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে মাত্রা ছাড়া বিলাপের কারণটি বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার শিকড়ের সন্ধানে। যে হত্যাকাণ্ড ছিল একটি রাজনীতিকেই নিকেষ করার চেষ্টা। যে রাজনীতি জন্ম দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের। যে কারণে বঙ্গবন্ধু-কন্যা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেও হত্যার কম চেষ্টা হয়নি। আর সেই তিনিই কিনা তিন-তিন বার ক্ষমতায় এবং তাঁরই হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অনেকটাই ডানা মেলেছে। ভুলে গেলে চলবে না, মুক্তিযুদ্ধের সূত্রেই ভারত-বাংলাদেশ রক্তের সম্পর্কে আবদ্ধ। বাংলাদেশের মাটিতে সেই রাজনীতি পরাজিত হলে বিপদ তাই ভারতেরও।
ঢাকা ক্লাবের আড্ডায় এক সাংবাদিক বন্ধু বলছিলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হাসিনার আরও একটি সাফল্য বিরোধীদের শিরঃপীড়ার কারণ। ১৯৯৬ এবং চলতি তিন দফা হিসাব করলে প্রধানমন্ত্রিত্বে দেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকেই শুধু নয়, উপমহাদেশে ইন্দিরা গান্ধী, সিরিমাভো বন্দরনায়েক, চন্দ্রিকা কুমারতুঙ্গা, বেনজির ভুট্টোদের ছাপিয়ে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
ঠিক এক বছরের মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন। মাঠে-ময়দানের রাজনীতির দৌড়ঝাঁপ দেখে মনে হবে, ভোট বুঝি সামনের সপ্তাহে। দুর্নীতির মামলায় জেল হওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গৃহবন্দি। তিনি গুরুতর অসুস্থ। মূল ধারার সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কম। তাঁর পুত্র দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত তারেক জিয়া দেশে নেই। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হালের সবচেয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হল বিএনপির মাঠ-ময়দানে রাজনীতি। শাসক দলের জন্য যা স্বস্তির। আওয়ামী লিগ নেতারা বলছেন, রাজপথে মোকাবিলা হোক। প্রধানমন্ত্রী চায়ের খোলা দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন বিরোধী নেতাদের।

কিন্তু বিএনপির দাবিপত্র দেখে ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় জাগে। তারা বর্তমান সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট চায়। যে দাবির মধ্যে সরকার বদলের আকাঙ্ক্ষার চেয়ে বেশি কাজ করছে বদলার রাজনীতি। সেটা কী?
খালেদা জিয়ার নামের সঙ্গেই লেগে আছে ভোট কারচুপির দায়ে পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের দাবি মানতে বাধ্য হওয়ার মতো অস্বস্তিকর ইতিহাস। বিএনপি চায় আওয়ামী লিগ ও হাসিনার একই পরিণতি ডেকে আনতে। কিন্তু নিরপেক্ষতার নামে ‘অ-নির্বাচিত’ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসানোর বিপদ বাংলাদেশ দেখেছে। সেই সরকারই ভোট পিছিয়ে দিয়ে অবৈধ ভাবে দেশের শাসনভার কুক্ষীগত করেছিল। চেষ্টা করে খালেদা ও হাসিনাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ‘মাইনাস-টু ফরমুলা’ কার্যকর করতে। ফলে সেই অপশান বিএনপি চাইলেও বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ চাইবে কি না, প্রশ্ন আছে।
যদিও তা নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের একাংশের তৎপরতা দেখার মতো। বাংলাদেশের মাটিতে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন, জাপান, যে যার মতো করে সক্রিয়। বিগত ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের মুখে ঢাকা ছাড়তে হয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
কী করবে ভারত? বর্তমান সময়ে দু’দেশের সম্পর্ক নিছক কূটনৈতিক নয়, বরং যৌথ উদ্যোগের মতো, যা থেকে উভয়েই উপকৃত। আওয়ামী লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের খোলাখুলি বলেছেন, ‘ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না ঠিকই। তবে ভারত পাশে থাকলে ভরসা পাই, সাহস পাই।’ আরও বলেছেন, ‘একটা কথা মনে রাখবেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার চেয়ে কোনও বিশ্বস্ত বন্ধু ভারতের নেই। এটা ভারতকে মনে রাখতে হবে।’ তাৎপর্যপূর্ণ হল, সুর পাল্টে খালেদার দলও ভারতের মন পেতে আগ্রহী। ২০২৪-ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশেই নির্বাচন। দেশের ভোটে নরেন্দ্র মোদীর দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে। আর ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের নির্বাচনও। ঢাকা কার দখলে থাকবে নয়াদিল্লির তা নিয়ে আসে যায় বৈকি।

 

 

Source: thewall.in, Jan 17, 2023

Link: https://www.thewall.in/news/padma-bridge-metro-rail-bangabandhu-tunnel-a-year-of-momentous-achievement-in-bangladesh-communication-sector/