বিএনপির সন্ত্রাসের আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট

অধ্যাপক আবদুল মান্নান

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রথমে যে রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করেছিল সেটি জেনারেল জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। শুরুটা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের জাগদল নামে একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে। সঙ্গে ছিল চরম আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুবিদ্বেষী বেশ কিছু অতি বামপন্থী দল। জিয়া নানা প্রলোভন দিয়ে তাঁর সঙ্গে নিয়েছিলেন বেশ কিছু অরাজনৈতিক সুবিধাবাদী পেশাজীবী ও সামরিক-বেসামরিক আমলাকে। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় যে আমলা খাদ্যসচিব ছিলেন তাঁকে জিয়া তাঁর খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। এতেও তিনি খুব বেশি তাঁর প্ল্যাটফর্মের ওপর আস্থাশীল হতে পারেননি। বহুদলীয় গণতন্ত্র উন্মুক্ত করে দেওয়ার নামে তিনি একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামের মতো দলগুলোকেও রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন। তাঁর শাসনামলে একাত্তরের জামায়াতের আমির পাকিস্তানের নাগরিক গোলাম আযমকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। একসময় জাগদল বিএনপিতে রূপান্তরিত হয়। বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতা দখল করে রাজনৈতিক দল গঠন করা বাংলাদেশে সে-ই প্রথম। এই কাজটি একসময় জিয়ার বস পাকিস্তানের ডিক্টেটর জেনারেল আইয়ুব খান করেছিলেন। বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কখনো নিজের শক্তির ওপর আস্থাশীল ছিল না। সে কারণেই তাদের সব সময় জামায়াতের মতো একটি সন্ত্রাসনির্ভর দলের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। জামায়াত একটি ক্যাডারনির্ভর দল, যার রাজনৈতিক কাঠামো অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধী সংগঠন মাফিয়াদের মতো। ব্যক্তি হিসেবে জিয়া অনেক চতুর ও ধূর্ত ছিলেন। তাঁর শাসনামলে তিনি জামায়াত বা অন্যান্য আওয়ামী লীগবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে চাতুর্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এদের বিএনপির কাঁধে সিন্দাবাদের দৈত্যের মতো সওয়ার হতে দেননি। জিয়ার আর এরশাদের একনায়কতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল, তাঁরা দুজনই সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পছন্দ করতেন। তাঁরা কেউই অন্য কাউকে বিশ্বাস করতেন না। দুজনের আমলেই একটি সাক্ষীগোপাল সংসদ ছিল আর ছিল একটি মন্ত্রিসভা। কিন্তু তার কোনো ক্ষমতা ছিল না। বেগম জিয়া তাঁর স্বামী বা এরশাদ থেকে কিছুটা ব্যতিক্রমী। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি নিজে ছাড়াও তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান আর ভাই সাঈদ এস্কান্দারকেও শরিক করেছিলেন। সাঈদ এস্কান্দারের কর্মকাণ্ড তেমন একটা দৃশ্যমান না হলেও সেনাবাহিনীতে তাঁর একটা বড় প্রভাব ছিল। আর তারেক রহমান স্বনামে খ্যাত হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক সমান্তরাল একটি বেসামরিক প্রশাসন চালু করেছিলেন, যা হয়ে উঠেছিল দুর্নীতি আর ষড়যন্ত্রের একটি বড় মাপের দুর্গ।

তারেক রহমানের সহায়তায় খালেদা জিয়া ২০০১-০৬ মেয়াদের শাসনামলে হয়ে ওঠেন অনেকটা বেপরোয়া। এই বেপরোয়াপনায় তাঁদের নিত্যসঙ্গী ছিল জামায়াত। জামায়াতের এই সখ্যের মূল কারণ ছিল জেনারেল জিয়া তাদের নিষিদ্ধ সংগঠনকে বৈধতা দিয়েছেন আর বেগম জিয়া তাদের আমির মতিউর রহমান নিজামী আর সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ মোহাম্মদ মুজাহিদ, যাঁদের দুজনই একাত্তরের প্রথম কাতারের যুদ্ধাপরাধী, তাঁদের তাঁর মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার এই মেয়াদকালে মূল ষড়যন্ত্র ছিল আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল এই ষড়যন্ত্রের এক ভয়াবহ নজির। এ বিষয়ে সংসদে ততকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ কথা বলতে চাইলে তাদের এ বিষয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। বরং বিএনপির একাধিক সংসদ সদস্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে বলার চেষ্টা করেছিলেন এই গ্রেনেড হামলা খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগেরই একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ। গ্রেনেড হামলার মূল নায়ক মুফতি হান্নান আদালতে স্বীকার করেছেন এই হামলার সঙ্গে তারেক রহমান ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু নেতা জড়িত ছিলেন এবং তারা হাওয়া ভবন থেকেই সব নির্দেশ পেত। চট্টগ্রামে যে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ল সে সম্পর্কেও বেগম জিয়াসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু কর্মকর্তা অবহিত ছিলেন। বিএনপির সংসদ সদস্য একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী সংসদে সুযোগ পেলেই বলতেন প্রয়োজনে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানো হবে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি আর জামায়াতের ভরাডুবির মূল কারণ তাদের শাসনামলের পুঞ্জীভূত পাপের বোঝা। সেই নির্বাচনে স্বল্পসংখ্যক সিট পেয়ে সংসদের ভেতর তাদের সদস্যরা নিয়মিত সংসদকে অকার্যকর করার চেষ্টা করেছেন। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এলে বিএনপি আর জামায়াত মিলে বায়না ধরে তারা নির্বাচনে যাবে তা যদি আদালত কর্তৃক বাতিলকৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। তাদের ইন্ধন জোগাল দেশের বেশ কিছু সুবিধাভোগী সুধী ব্যক্তি আর কৃপাধন্য মিডিয়া। সঙ্গে জুটল কয়েকটি দেশের দূতাবাস। বিএনপির পক্ষে অনেকটা ওকালতি করতে অযাচিতভাবে জাতিসংঘ আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে এলেন রাজদূতরা। নির্বাচনবিষয়ক জটিলতা পূর্ণাঙ্গভাবে শুরু হওয়ার আগে ২০১৩ সালের ৫ মে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হেফাজতের নামে ঢাকা দখল করতে ছুটে এলো কয়েক হাজার ধর্মব্যবসায়ী। এই ধর্মব্যবসায়ীদের তাণ্ডবে একসময় মনে হলো বুঝি দুর্বৃত্তদের হাতে বাংলাদেশের রাজধানীর পতন হবে। তাদের সর্বাত্মক সমর্থন জানাল বিএনপি। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের ফলে রক্ষা পেল রাজধানী। এরপর শুরু হলো বিএনপি-জামায়াত জোটের অসাংবিধানিক পন্থায় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার ভয়াবহ একতরফা পেট্রলবোমার যুদ্ধ। খালেদা জিয়া সেই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক অফিসে কমান্ড বাংকার খুললেন। বললেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উত্খাত না করে তিনি ঘরে ফিরবেন না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষ আর কখনো খালেদা জিয়ার পেট্রলবোমার মতো এত জীবন ও সম্পদ ধ্বংসকারী ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেনি। সঙ্গে তিনি সারা দেশে অবরোধও ঘোষণা করলেন। টানা ৯২ দিন খালেদা জিয়ার এই যুদ্ধ চলল। তাঁর এই যুদ্ধের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার দায়িত্ব নিল ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। পুড়ল ট্রেন আর কয়েক শ স্কুলঘর। কয়েক হাজার যানবাহনে খালেদা জিয়ার সৈনিকরা অগ্নিসংযোগ করল। প্রায় তিন শ নিরীহ মানুষ পেট্রলবোমার শিকার হয়ে প্রাণ দিল। চিরতরে পঙ্গু হলো কয়েক শ। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বললেন, ‘আসুন, একসঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। বেগম জিয়ার মন টলানো গেল না। শেখ হাসিনা সংবিধান সমুন্নত রেখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি ও তার মিত্রদের ছাড়া নির্বাচন করে সরকার গঠন করলেন। এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে।

এটি স্বাভাবিক, বেগম জিয়ার এমন পরাজয়ের পর তাঁর অনেক সৈনিক দেশত্যাগী হবে। হয়েছেও ঠিক তাই।   কেউ গেল যুক্তরাজ্যে, কেউ বা যুক্তরাষ্ট্রে। অনেকে ছুটল কানাডা। এসব দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া অনেকটা সহজ। বেগম জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান সেই ২০০৭ সাল থেকে চিকিৎসার নামে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে সপরিবারে বিলেতে আছেন। তবে দেশ ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাঁর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এমন একজন দুর্বৃত্ত মিরপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজী রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের আশায় গিয়েছিলেন কানাডা। প্রাথমিকভাবে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল জুয়েলকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়। কিন্তু পরের বছর ১৬ মে তাঁর এই অনুমোদন বাতিল করে দেয় সেই দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। বাতিল করার সময় কানাডার অভিবাসন অফিসার মন্তব্য করেন, বিএনপি বর্তমানে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ভবিষ্যতেও তাদের এমন চরিত্র বজায় থাকবে। সেই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি হরতালের নামে যেসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল তা তাদের সংজ্ঞায় পুরোদস্তুর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। বিষয়টি আইনগত পর্যালোচনার জন্য কানাডার ফেডারেল কোর্টে (সর্বোচ্চ আদালত) উত্থাপিত হলে শুনানি শেষে বিচারপতি হেনরি ব্রাওনা ৩২ পৃষ্ঠার এক রায়ে বিএনপির অতীতের সব কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে অভিবাসী অফিসারের সিদ্ধান্তের পক্ষে রায় দেন অর্থাৎ এটি সে দেশের আদালতে প্রমাণিত হয় যে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল এবং তাদের কোনো কর্মী সেই দেশে এই দলের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে তাকেও মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজীর মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে। রায় লিখতে গিয়ে বিচারক বিএনপির প্রতিষ্ঠা, বিভিন্ন সময় তার কর্মকাণ্ড, দলটি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় পরিবেশিত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে গত ২৫ জানুয়ারি।

খালেদা জিয়ার শাসনামলে বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসনির্ভর দলে পরিণত হয়েছে, তা কানাডার আদালতে প্রমাণিত না হলেও তেমন কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হতো না। বাংলাদেশের মানুষ তা বেশ আগে থেকেই জানে। তারা বর্তমানে শুধু এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পেয়েছে। তাদের এই পরিণতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা শুধু নিজেদের ও জামায়াত-শিবিরকেই দায়ী করতে পারে। সাহাবুদ্দিন লাল্টু একসময় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। নাসিরউদ্দিন পিন্টু ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। একসময়, সম্ভবত ১৯৯৭ সালে পিন্টু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাল্টুর কান কেটে নিয়েছিলেন। লাল্টু এখন রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে কানাডাপ্রবাসী। গত ২৩ তারিখ লাল্টু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘বিএনপি আজ সর্বস্বান্ত। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা থাকার পরও একটি দল যে যারপরনাই দুর্ভোগের সীমাহীন শিকারে পরিণত হতে পারে, তার প্রমাণ বিএনপি নামের দলটি। কোনো রকমের সাংগঠনিক যোগ্যতা ছাড়াই এ দলের বড় পদগুলো দখল করে রেখে জনগণের অতিপ্রিয় দলটিকে দেউলিয়াত্বের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে কিছু নেতা। …দলটিতে কার্যত নেতাকর্মীদের জন্য শীর্ষ নেতা-নেত্রীর তোষামোদি করা ছাড়া তেমন কিছু করার নেই। …স্বাধীনতাবিরোধী (জামায়াত) একটি দলের সঙ্গে জোট বাঁধার কারণে দলটি আজ শুধু দেশেই নয়, বিদেশে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে। সন্ত্রাসী দল না হয়েও শুধু অপপ্রচারের কাছে পরাস্ত হয়ে কানাডার মতো একটি দেশের ফেডারেল আদালতের চোখে সন্ত্রাসী পরিগণিত হওয়া কিছুতেই চাট্টিখানি কথা নয়। …এমন একটি অপবাদ দলটিকে নিতে হতো না, যদি তারা স্বাধীনতাবিরোধী ওই দলটির সঙ্গে কোনো প্রকার রাজনৈতিক জোট না বাঁধত। ’ একসময়ের ছাত্রদল প্রধান লাল্টু যখন এমন কথা বলেন, তখন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক (অনেকের মতে আবাসিক বিবৃতি সম্পাদক) রুহুল কবীর রিজভীর মতে এ সবকিছুই সরকারের ষড়যন্ত্রের ফল। আওয়ামী লীগ যদি এতই ক্ষমতাসম্পন্ন হয় যে কানাডার আদালত পর্যন্ত প্রভাবিত করতে পারে, তাহলে বিএনপির রাজনীতি করার আর কী প্রয়োজন?

পেট্রলবোমা যুদ্ধের পর অনেক স্থানে বোমা বানানোর সময় ছাত্রদলের একাধিক বোমাবাজের হাত উড়ে গেছে। ২০১৪ সালে কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় এই বলে যে তারা নিজ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার দায়ে মামলা মাথায় নিয়ে দেশত্যাগ করেছে। বিএনপি বলেছে, তারা কানাডার আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে কানাডা দূতাবাসে যাবে। বিএনপির বোঝা উচিত, কানাডার আদালত সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো আদালত নয়। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে। তবে রিজভী আহমেদ কানাডার আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে অর্ধদিবস হরতাল আহ্বান করতে পারেন অথবা তাদের নেত্রী ঢাকায় লাগাতার অবরোধও আবার পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। কী উপায়ে বিএনপি তাদের বর্তমান দুরবস্থা থেকে বের হবে তা তাদের এখনই চিন্তা করতে হবে। সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

Add a Comment